
দেখলাম ঘড়ির কাঁটায় তখন সবে মাত্র চারটে। ভীষণ ঠান্ডা। কিছুতেই ঘুম আসছেনা। কেমন যেন একটা দম আটকানো অনুভূতি - সে বলে বোঝানো যাবেনা। উঠে বসতে চলে যাচ্ছে আবার যেই শুয়ে পড়ছি অমনি অদ্ভুত অস্বস্তিভাব। যাইহোক মা এর দিকে তাকালাম। দিব্বি ঘুমোচ্ছে। বাবা যদিও মাঝে মাঝেই একবার এদিক আরেকবার ওদিক ফিরে ঘুমোনোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
অবশেষে ঘুম এলো বেশ অনেক্ষন পর। ঘুম ভাঙলো যদিও নিজে থেকেই এবং অনেক আগেই। বাড়িতে থাকা আর বেড়াতে যাওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ। কোথায় এসেছি ? পূর্ব সিকিম এর এক অপরূপ সুন্দর গ্রাম 'জুলুক' এ। স্যার বলেছিলেন তিনি নাকি বন্ধুদের সাথে ডিসেম্বর মাসে এখানে এসেছিলেন। না! ডিসেম্বর এ একবার আসতেই হবে। এখনই প্রায় কাঁপিয়ে দিচ্ছে , তাহলে তিন মাস আগে তো ভয়ঙ্কর ঠান্ডা নিশ্চয়ই। আসার সময় সারাটা রাস্তা জুড়ে প্রচুর বরফ দেখতে পেয়েছি - তখন তাহলে বরফ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাবেনা! আমার মতো প্রকৃতি প্রেমিক দের জন্য এক্কেবারে 'আইডিয়াল' পরিবেশ। সক্কাল সক্কাল গরম চাউমিন দিয়ে গেছে - এই এলাকায় লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। আমরা ছাড়া আর মাত্র একটি পরিবার - তারাও কলকাতার। আমাদের ই মতন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হতেই বেরিয়ে পড়েছে প্রকৃতির টানে। হ্যাঁ যা বলছিলাম, চাউমিন খেয়ে কফি এর জন্য অপেক্ষা করছি। এখানে গরম খাবার পাঁচ মিনিটেই ঠান্ডা হয়ে যায়। কোনোভাবে আরেকটা জ্যাকেট পরে লেপ এর ভেতর থেকে বেরোলাম - উফ! নিঃশ্বাস টাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। 'গ্লাভস' টা খানিকক্ষণের জন্য খুলে রাখলাম নাহলে কাপ ধরতে অসুবিধা হবে। কফি র কাপ এ চুমুক দিয়েই বেরিয়ে পড়লাম 'থামবি' এর উদ্দেশ্যে।
ও বলতে ভুলেই গেছি - আমরা একটা গাড়ি ভাড়া নিয়েছি, সেই এ